
রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় ব্যাংকটির নিরাপত্তা প্রহরীর কক্ষে আলোচিত এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার পর আক্তাপাড়া এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার দিনের সকল কাজ করে আক্তাপাড়া বাজার সংলগ্ন নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত পতন দাশের ছেলে নিরাপত্তা প্রহরী পল্টু দাশ নিজ বাড়িতে চলে যায়। তখন সন্ধ্যা সাড়ে ৬ ব্যাংকের অপর নিরাপত্তা প্রহরী জাকির হোসেন তাকে ফোনে কল করে বাড়ি থেকে বাজারে নিয়ে আসে। বাজারে আসার পর সে আর বাড়ি ফিরেনি। রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় তার চাচা অতুল দাশ পল্টুর বন্ধ আক্তাপাড়া গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে মাসুমের কাছে পল্টু কোথায় আছে এ সম্পর্কে জানতে চাইলে মাসুম জানায়, পল্টু ব্যাংকের একটি কক্ষে শুয়ে আছে। তাকে ডেকে আনতে বললে মাসুম সেখানে গিয়ে পল্টুর নাম-মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে এবং তাকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পায়। পরে সে আশপাশের লোকজনকে ডাকদিলে তারা তাকে কৈতক ২০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নিহতের পরিবার থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোক্তাদির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।