জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার এলাকার কুতুবপুর গ্রামের ভারসাম্যহীন মেয়ের ইটের আঘাতে ৬০ বছর বয়সের বৃদ্ধ মা মোছাঃ সফিকুন নেছার মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার(২৯ ডিসেম্বর) রাত ৮.৩০ ঘটিকার সময় ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের আক্তাপাড়া গ্রামে। মৃত মোছাঃ সফিকুন নেছা আক্তাপাড়া গ্রামের ইস্কন্দর আলীর স্ত্রী এবং ঘাতক মেয়ে হালিমা বেগম(২২) আক্তাপাড়া গ্রামের ইস্কন্দর আলী ও মৃত মোছাঃ সফিকুন নেছা দম্পতির মেয়ে হয়। ঘাতক হালিমা বেগম ২ সন্তানের জননী ও ৭ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত মোছাঃ সফিকুন নেছার মেয়ে হালিমা বেগম(২২) বছরের বেশীর ভাগ সময়ই ভারসাম্যহীন থাকে। বিগত ৩/৪ বছর পূর্বে হালিমা বেগমকে পাশর্^বর্তী জামালগঞ্জ উপজেলার কামলাবাজ গ্রামে আলী নুর এর সাথে বিবাহ দেয়া হয়। বিবাহের পর বেশীর ভাগ সময়ই ভারসাম্যহীন থাকায় হালিমা বেগম(২২) তাহার পিত্রালয় আক্তাপাড়া গ্রামে বসবাস করে আসছিল। গত রবিবার(২৯ ডিসেম্বর) রাত ৮.৩০ ঘটিকার সময় তাহার মা মৃত মোছাঃ সফিকুন নেছা হালিমা বেগমের রাতের বিছানা তৈরী ও খাবার দিতে গেলে লোহার শিকলে বাঁধা হালিমা বেগম পাশে থাকা ইট দিয়ে তার মা মোছাঃ সফিকুন নেছার মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে মৃত সফিকুন নেছার মাথার মগজ বেরিয়ে আসে। তাৎক্ষনিক পরিবারের লোকজন মোছাঃ সফিকুন নেছাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়া গেলে গতকাল মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত ২ ঘটিকার সময় কর্তৃব্যরত ডাক্তার মোছাঃ সফিকুন নেছাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষনা করেন। পরে সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।